নওমুসলিমের সংখ্যা বাড়ছে
॥ এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী॥
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সূরা বাকারা : ২০৮)।
পৃথিবীতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত জাতি যেমন মুসলিম সম্প্রদায়, তেমনি আশার দিক হচ্ছে- জীবনপথে চলতে গিয়ে পথহারা ক্লান্ত পথিকের প্রধান আকর্ষণও হচ্ছে ইসলাম। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলাম গ্রহণ করা নওমুসলিমের সংখ্যা দ্রুতহারে বেড়ে চলেছে। পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই মুসলমানরা সংখ্যায় খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে। আমরা জানি, খ্রিস্টান ধর্মের পরই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। বিভিন্ন অনলাইন গবেষণা অনুসারে বর্তমানে ইসলাম বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম। ২০২০ সালে পরিচালিত বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ১.৯ বিলিয়ন বা ২৪.৫ শতাংশ মুসলমান। সেখানে উঠে এসেছে আরোও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
প্রতি বছর ৫ হাজারেরও বেশি ব্রিটিশ ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন, যাদের বেশিরভাগই মহিলা।
জরিপের গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৩০ হাজার লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। প্রতি বছর ইসলামে ধর্মান্তরিতদের সংখ্যা নরওয়েতে ৩ হাজার।
সৌদি আরবে গত এক বছরে বিভিন্ন দেশের ৫০ হাজারের বেশি লোক ইসলাম গ্রহণ করেছেন। গত ১১ মাসে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসলাম ও দাওয়াহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ....বিস্তারিত
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম ও বর্তমান সভ্যতা
॥ মনসুর আহমদ॥
(পূর্ব প্রকাশের পর)
মার্কিন শ্রম বিভাগের ১৯৭৫ সালের জন্য প্রণীত হ্যান্ডবুক অন উইমেন ওয়ার্কার্স প্রকাশনায় প্রদত্ত তথ্যে জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট কর্মী নারী জনসমষ্টির কেবল ৫ শতাংশ ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক পর্যায়ের অধিকারী। ১৯৭০-এ যুক্তরাষ্ট্রের মোট আইনজীবীর মধ্যে মহিলার হার ছিল মাত্র ৪.৭ শতাংশ। এটা ১৯৬০ সালের ২.৪ শতাংশের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সকল নারী কর্মীর দুই পঞ্চমাংশেরও বেশি দশটি পেশায় নিযুক্ত ছিল।... এ থেকে বোঝা যাবে, মেয়েরা বিশেষ বিশেষ পেশায় অতিমাত্রায় নিয়োজিত থাকলেও আর সব পেশায় তাদের উপস্থিতি নেই।” (রাজনৈতিক নারীর অভ্যুদয়-রিটা মে কেলি ও মেরী বুটিলিয়ার)।
এ ধরনের বহু উপাত্ত ও তথ্য থেকে প্রমাণ হয় যে, জাতিসংঘের যে সব দেশ ‘নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ-সিডিও’-তে স্বাক্ষর করেছে তার কোথাও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রকৃতিগত কারণে আর তা কখনো হওয়া সম্ভবপর নয়। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত সমাজতন্ত্রবাদী দার্শনিক ড. প্রোডন লিখেছেন, ‘যেহেতু নারীকে কেবল কতিপয় অভ্যন্তরীণ উৎকর্ষই দান করা হয়েছে, সেহেতু সে এদিক দিয়ে একটি মূল্যবান মুক্তা বিশেষ এবং সংশ্লিষ্ট গুণে সে পুরুষকে ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু পুরুষের অধীন থেকেই নারীর এসব গুণের বিকাশ ঘটতে পারে। কেননা প্রকৃতির এ মহাদানটি নারীর চিরস্থায়ী বিশেষণ বা গুণ নয়; বরং এমন একটি গুণ, আকৃতি ও অবস্থা, যা তাকে স্বামীর ....বিস্তারিত